৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, রাত ১১:০৪

হাত বাড়ালেই মিলছে যৌন উত্তেজক ঔষধ

প্রাইমনারায়ণগঞ্জ.কম

প্রাইম প্রতিবেদকঃ

নারায়নগঞ্জ শহরে হাত বাড়ালেই মিলছে যৌন উত্তেজক ঔষধ। মানা হচ্ছে না কোন সরকারি নিয়ম নীতি বা ডাক্তারি পরামর্শ। শহরের ফুটপাত, বিভিন্ন হাট-বাজার ও পথে-ঘাটে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এসব নামে বেনামে ট্যাবলেট ও এ্যান্টিব্যয়েটিক। সেই সাথে সপ্তাহের কয়েকদিন নগরীর চাষাড়া এলাকায়  মাইকিংয়ের মাধ্যমে ক্রেতাদের আকর্ষণ করে অসাধু ব্যবসায়ীরা নামহীন কোম্পানির এসব ওষুধ বিক্রি করছে। ডাক্তারের কোন প্রেস্ক্রিপশন ও পরামর্শ ছাড়াই এসকল ঔষুধ সেবন করে মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরছে সাধারণ লোকজন।

সরকারি নিয়ম অনুসারে ড্রাগ লাইসেন্স ও সাইনবোর্ড ছাড়া ঔষধ বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।  একইসাথে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, শুষ্ক ও রোদমুক্ত স্থানে ওষুধ সংরক্ষণ করতে বলা হলেও তা মানছেন না  জেলার হাট-বাজার, পথে-ঘাটে ও ফুটপাতের ওষুধ ব্যবসায়ীরা।  এদিকে চিকিৎসকরা বলছেন, যৌন উত্তেজক ঔষধের সাময়িক উন্নতি মিললেও খুবই ভয়ঙ্কর অবস্থা ধারণ করে যাদের হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে।  সেজন্য এই ঔষধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে হবে।

সরেজমিনে দেখা মেলে, শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়কের আশে পাশে মজমা বসিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। তারা মাইকিংয়ের পাশাপাশি যৌন বিষয়ক ম্যাগাজিন, বই দেখিয়ে প্রকাশ্যে মাইক বাজিয়ে বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক, যৌন উত্তেজক ঔষধ বিক্রি করছে।  তাদের বিক্রি করা ঔষধগুলো হচ্ছে,   কিং পাওয়ার অয়েল, পাওয়ার সেক্স অয়েল, এনজয় পাওয়ার অয়েল, স্ট্রং পেইনস ম্যাসেজ অয়েল, পেইন আউট স্প্রে, ডি বাজিকরণ, ম্যাক্স জেড, এ্যাপেক্স, ভিগোসা, সেকলো, লুমিসেক, ডেফরল, ভিটামিন বি-৫০ ফোর্টসহ নানা ধরনের ঔষধ ।

তাদের মজমা দেখতে আসা কয়েকজনের সাথে বলে জানা যায়,  যৌন উত্তেজক ঔষধ ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে আমাদের লোকলজ্জা কাজ করে। এছাড়া  ফার্মেসিতে যে ওষুধের দাম ১০ টাকা সেটা ১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।  আমরা ওষুধ সম্পর্কে ভাল বুঝি না। সব ওষুধ দেখতে একই রকম ও কম দামে পাওয়া যায়। তাই আমরা এখান থেকে ওষুধ কিনি।

মজমার আশপাশের কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানায়, এভাবে প্রকাশ্যে যৌন উত্তেজক ঔষধ বিক্রি করার আমরা বিব্রত হই।  যৌন বিষয়টা সম্পূর্ণ গোপন (প্রাইভেসির)। এভাবে হাট-বাজার, রাস্তাঘাটে প্রকাশ্যে এই ঔষধ বিক্রি করলে আমাদের সন্তানরা এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়ে উঠবে। প্রশাসনের এ বিষয়ে অতিদ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

কামরুল নামে এক ঔষধ বিক্রেতা বলেন, বিভিন্ন কোম্পানির প্রচারে ও পেট বাঁচানোর জন্যই এসব ওষুধ ফুটপাতে বিক্রি করি। যদিও ফুটপাতে ওষুধ বিক্রি করার কোন নিয়ম নেই। ওষুধ খেয়ে মানুষ উপকার পায় বলেই এ ধরণের ওষুধ চলছে খুব বেশি।

সচেতন মহল বলছে, হাট-বাজারে অবাধে যে ওষুধ হকারি ও ক্যানভাসিংয়ের মাধ্যমে বিক্রি হয়।এসকল ঔষধ কতটা মানসম্পন্ন তা ভাবনার বিষয়। মানবদেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর এসকল ঔষধ বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের ভূমিকা নীরব। অনেল সময় অভিযান করে উচ্ছেদ করলেও তারা পুনরায় বসে নানা কৌশলে তারা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যায়।

বাছাইকৃত সংবাদ

No posts found.